1. online@somoybangla24.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. news@somoybangla24.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জে চারটি আসনে যারা পেলেন বিএনপির মনোনয়ন নওগাঁ পোরশা নিতপুর সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে মালিক বিহীন ৩ লক্ষ টাকার ভারতীয় মহিষ আটক নওগাঁর মান্দা-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী জনপ্রিয় তৃণমূলের নেতা ডা. টিপুকে সমর্থন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন নওগাঁয় কার্তিকের দ্বিতীয় সপ্তাহে বৃষ্টিতে আধা-পাকা ধানসহ আলু মরিচ শাক সবজি ক্ষতি! কৃষকের মাথায় হাত নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছনির বিরুদ্ধে তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ নওগাঁর বদলগাছীতে কুকুররের কামড়ে শিশুসহ ৩ জন আহত! চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি, বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১ নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে ৫০ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ রেজুয়ান নামে এক জন চোরাকারবারী আটক নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষি বিভাগের চলতি মৌসুমে রবিশস্য চাষাবাদে সারের কোন সংকট নেই!!! শেরপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থীর গণসংযোগে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

নওগাঁর বদলগাছীতে অবৈধ নিয়োগের স্বাক্ষর নিতে প্রধান শিক্ষককে অপহরণ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৬২ বার

নওগাঁর বদলগাছীতে অবৈধ নিয়োগের স্বাক্ষর নিতে প্রধান শিক্ষককে অপহরণ

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর বদলগাছীতে এক টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এর প্রধান শিক্ষককে অপহরণ করে জোরপূর্বক অবৈধ নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বামনপাড়া টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এর সুপারিনটেনডেন্ট মো. হুমায়ুন রেজা খানকে অপহরণ করে বাসায় নিয়ে গিয়ে তিন কর্মচারীর নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি বশির উদ্দিন ও তার ছেলে বুলেট সহ আরো আট-দশ জন ব্যক্তি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুপারিন্টেন্ডেন্ট গত বৃহস্পতিবার রাতে বদলগাছী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সাথে মৌখিক ভাবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহীনঅফিসার (ইউএনও) কেও বিষয়টি অবগত করেছেন। সোমবার ১৩ অক্টোবর দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বামনপাড়া টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট হুমায়ুন রেজা খান বৃহস্পতিবার ৯ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। উপজেলার সন্ন্যাসতলা এলাকায় পৌঁছামাত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি বশির উদ্দিন এবং তার ছেলে মো. বুলেট হোসেন, ও এলাকার মো. হাবিব হোসেনসহ আরও ৮ থেকে ১০ জন মিলে তার পথ রোধ করে তাকে জোরপূর্বক অটোচার্জার গাড়িতে তুলে জয়পুরহাট সদরে সবুজনগড় এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিদ্যালয়ের তিনজন কর্মচারীর নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করে রেল স্টেশন এলাকায় তাকে ছেড়ে দিয়ে যায়। এ ঘটনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী মোস্তফা বলেন, ওই তিন জন মাঝে মাঝে স্কুলে আসতো। তারা নিয়োগ পেয়েছে বললেও কোনোদিন নিয়োগ পত্র দেখায়নি। এছাড়া কখনও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেননি। মাঝে মাঝে আসতো বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক আতিকুর রহমান ও এনামুল হক সহ একাধিক শিক্ষকরা। তারা জানান, আমরাও শুনতাম। কিন্তু কখনও নিয়োগ পত্র দেখাননি বা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেননি। ভুক্তভোগী হুমায়ুন রেজা খান বলেন, আমি গত ২০২২ সালে এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করি। তখন সভাপতি ছিলেন বশির উদ্দিন। যোগদানের পর তার কাছে দাপ্তরিক বিভিন্ন কাগজ চাইলেও তিনি কখনও বুঝে দেননি। এরপর তিনি একক ক্ষমতা বলে গত ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানে তিনজন কর্মচারী নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এবং নিয়োগ বোর্ডও গঠন করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে তাদের নিয়োগ দেওয়া যায়নি। এরইমধ্যে আমাকে অপহরণ করে নৈশ্য প্রহরী বাধন হোসেন, আয়া পদে ফারজানা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে জালাল হোসেনের নিয়োগপত্র, যোগদানপত্রসহ এমপিওভুক্ত করতে যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন হয় তাতে আমাকে মারধর করে জোর করে স্বাক্ষর করে নেয়। এরপর তারা আমাকে রাত ৭ টার দিকে ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি আমার প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি ও সহকর্মীদের জানিয়েছি এবং ওইদিন রাতেই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারি ভাবে সম্পন্ন হবে। সেই জন্য হয়তোবা তারা ওই তিন জনকে বৈধতা দিতে আমাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে স্বাক্ষর করে নিয়েছে। এই ঘটনার আমি বিচার চাই। বর্তমানে আমি আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি। নৈশ প্রহরী পদের বাঁধন হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,“অপহরণের বিষয়ে কিছু জানি না। আমার বেতন হয়নি, এই জন্য সপ্তাহের পাঁচ দিনের মধ্যে একদিন স্কুলে যাই। আর অন্যান্য দিনে অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। তবে ২০২৪ সালে আমার নিয়োগ হয়েছে। আজকে কোথায় আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই সপ্তাহে আমি স্কুলে যাইনি গোপালপুর বাজারে আছি। স্থানীয় পলাশ হোসেন সহ কয়েকজন বলেন,“ এই ঘটনাটি শুধু একটি স্কুল নয়, পুরো শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থার ওপর বড় প্রশ্ন তুলেছে। শিক্ষাকে বাণিজ্যিক স্বার্থের জালে ফেলা বন্ধ না করলে এমন ঘটনা আরও বাড়বে।”এবিষয়ে জানতে পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি বশির উদ্দিনের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে,মুঠোফোন রিসিভ করেন নি। তবে তার ছেলে বুলেটের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,“ অপহরণের ঘটনাটি সত্য নয়,পরে সংযোগটি কেটে দেয়।এরপর বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার মুঠোফোনটি কেটে দেয়।”বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,“ অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত চলমান আছে। তবে তদন্তে এখন পর্যন্ত যতটুকু জেনেছি নিয়োগ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে ঝামেলা চলছে।” এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি বলেন,“ আমি বিষয়টি শুনেছি। গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ছুটিতে ছিলাম। আজকে থেকে অফিস করছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

আর্কাইভ

October ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Sep   Nov »
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© 2025, All rights reserved.
Theme Customized By BreakingNews